"রাঢ় বাংলার এক প্রাচীন উৎসব হল রোহিনী পরব", সম্পাদকীয় প্রতিবেদন

অমরেশ দত্ত, বঙ্গভূমি নিউজ:মানভূম ও পার্শ্ববর্তী রাঢ় বাংলার এক প্রাচীন ও প্রচলিত উৎসব হল, রোহিনী সংক্রান্তি। রোহিনী পার্বণ পালন করা হয় প্রতি বছর ১৩ই  জ্যৈষ্ঠ। পুরুলিয়া,বাঁকুড়া সহ ছোটনাগপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পালিত হয় এই উৎসব।মূলত এই অঞ্চলের কৃষিকাজ সাধারণত এক ফসলি এবং তা বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। এ দিন থেকে নতুন বীজতলা তৈরির মাধ্যমে ধান চাষের সূচনা হয়।

রোহিনীর দিন সাধারণত কৃষক পরিবারের মেয়েরা ঝুড়িতে ক্ষেত থেকে মাটি এবং গাছের ডাল নিয়ে আসে। যা ঘরের খামার, ধানের গোলা সহ গৃহস্থের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়। এই মাটিকে জমির উর্বরতা শক্তির ধারক ও কীটনাশক বলে মনে করা হয়। সাহারা ফল বা রোহিন-ফল সন্ধ্যার সময় চাষির পরিবারের সবাই দুধের সাথে খায়। এর কারণ হিসেবে মনে করা হয়, সাপ বা কীট-পতঙ্গ কামড়ালে,  বিষক্রিয়ার প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

 প্রাচীন কাল থেকে চাষিদের বিশ্বাস, এই দিনের পর থেকে সাতদিন পর্যন্ত ধান বীজ বপনের অনুকূল পরিবেশ থাকে। এই সময়কালকে আঞ্চলিক ভাষায় "রোহিনী বতর" বলা হয়। চাষীদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই সময় বীজ বপন করলে চারা গাছ সতেজ, রোগপোকামুক্ত হবে।
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال